টানা ২৬ ঘন্টা ঢাকা বিমানবন্দরে আটকে থাকার পর অবশেষে বাংলাদেশ থেকে বাড়ি ফিরলেন মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার এক মেডিকেল ছাত্রী চোখের সামনে বাংলাদেশের অশান্তির ছবি দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন মেডিকেল ছাত্রী নওশীন আহমেদ। ইন্টারনেট না থাকায় বাড়ির সঙ্গে ঠিকভাবে যোগাযোগও করতে পারছিলেন না,অবশেষে সোমবার রাত্রি দুটোর সময় কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন নওশীন। বাংলাদেশের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী নওশীন আহমেদ সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটেয় ভগবানগোলার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন এবং জানান সে তার কলেজের একজনকে গুলিবিদ্ধ হতে দেখেছে,বড় বড় বিল্ডিং এ আগুন জ্বলতে দেখেছে। বাড়ির সঙ্গে ঠিকভাবে যোগাযোগও করতে পারিনি, সে ভীষণভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। অবশেষে ভারতীয় ও নেপালি কয়েকজন ছাত্রীকে কলেজের অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছে দেওয়া হয়। বাড়ি আসতে পেরে ভীষণ খুশি নওশীন আহমেদ। একইভাবে উৎকণ্ঠা কাটিয়ে খুশির আবহ নওশীনের গোটা পরিবারে।
নওশীন আহমেদ নিজে কি বলেছেন :
ফরেন কওডিনেটর আমাদেরকে একটা রুম দিয়ে বলল তোরা সবাই ফরেনাররা এই রুমেই থাকবি, তার পরে দেখছি বাইরের অবস্থা খুবই ভয়ংকর দিনের পর দিন ভয়ংকর পরিস্থিতি হয়ে যাচ্ছে, বাড়িতে ফোন বা কোন যোগাযোগ করা যাচ্ছে না, চারিদিকে বোমের আওয়াজ আশেপাশে সবাই দেখছি জানলা দিয়ে চাকু, হেসে এসব নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তখন আমরা আরো বেশি আতঙ্কিত হয়ে গেলাম। আমরা যে এত কষ্টে আছি বাড়িতে জানাবো সেটা জানানোরও কোন উপায় ছিল না । তারপর হোস্টেল কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে আমরা দেশে ফিরতে পারি। রাত বারোটার সময় হোস্টেল কর্তৃপক্ষ কলেজের এম্বুলেন্সে করে আমাদেরকে ঢাকা এয়ারপোর্টে পৌঁছেদেন
নওশীন আহমেদের বাবা কি বলেছেন :
কিন্তু ও যখন বাংলাদেশে ছিল তখন আমরা যে কি পরিস্থিতিতে ছিলাম সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না ।আমি তো সব সময় আতঙ্কিত ছিলাম। ওর সঙ্গে যোগাযোগ খুব একটা করতে পাচ্ছিলাম না কারণ ওখানে নেট কানেকশন ছিল না বাংলাদেশের একটা নাম্বার ছিল সেখানে আমরা শুধু যোগাযোগ করেছিলাম ও বলল আমরা ভালো আছি,একই ঘরে আছি নিরাপদে । তারপর রাত বারোটার সময় দমদম এয়ারপোর্টে আমার মেয়ে যখন আসলো, তখন আমি যেন আকাশে চাঁদ ফিরে পেয়েছি।